আজ বুধবার ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তিবাহিনী তীব্র প্রতিরোধের মুখে মাগুরা হানাদার মুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মাগুরার রণাঙ্গনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। উত্তরে ছিল আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃতে শ্রীপুর বাহিনী। এ বাহিনীর শিবির ছিল শ্রীপুর থানার শ্রীকোল ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায়। এ অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন হাজীপুরের অবুল খায়ের (অব. ডেপুটি সেক্রেটারি)। আড়ুয়াকান্দি ব্রিজের কাছে স্থল মাইন স্থাপন করে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধসহ বিভিন্ন জায়গায় সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
মাগুরার দক্ষিণ-পূর্বভাগে জেলার মুহম্মদপুর অঞ্চলে বীর প্রতীক গোলাম ইয়াকুবের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী বাহিনী গড়ে ওঠে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় গঠিত হয় আরও একটি বাহিনী যার প্রধান ছিলেন কাজী আবু ইউসুফ, উপদেষ্টা ছিলেন খন্দকার আব্দুল মাজেদ। শালিখা অঞ্চলে কোনও সুসংগঠিত বাহিনী গড়ে না উঠলেও বামপন্থী
এছাড়া গেরিলা কমান্ডার লিয়াকত হোসেন, সাবেক এমপি আ. রশিদ বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম প্রমুখও ভূমিকা রাখেন মুক্তিযুদ্ধে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা মাগুরা ছেড়ে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এভাবেই ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ শত্রুমুক্ত হয় মাগুরা ।
/টিআর/এসটি/