সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরে রাস্তার কাজের জন্য ধাতব নল বসানোর সময় প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার ১৮ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে, এখনও প্রশাসনের কোনও হস্তক্ষেপ পড়েনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দরগাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মিয়ারাজ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর রাস্তা তৈরির কাজে বালি ওঠানোর জন্য সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরে বালির স্তর খুঁজতে মাটিতে পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ধাতব নল মাটিতে কিছুদূর প্রবেশ করানোর পর পাইপটি হঠাৎ শব্দ করে ওপরে উঠে আসে। লক্ষ্য করে দেখা যায় সৃষ্ট ছিদ্রপথ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চত হওয়ার জন্য ওখানে দেশলাইয়ের কাঠি ধরিয়ে দিলে আগুন জ্বলতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এই গ্যাস দেশের সম্পদ। যদি এখানে গ্যাস পাওয়া যায়, দেশের যেমন উন্নয়ন হবে, তেমনি এলাকারও উন্নয়ন ঘটবে। গত ১৭ দিন ধরে গ্যাস বের হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে তিনি দ্রুত জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দরগাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের এই চেয়ারম্যান জানান, এঘটনায় আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একজন প্রতিনিধি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আরও জানান, ২/৩ বিঘা এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থান দিয়ে এই গ্যাস বের হচ্ছে। একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার আশায় এলাকাবাসী আনন্দিত, তেমনি প্রশাসনিকভাবে কোনও সাবধানতার ব্যবস্থা না নেওয়ায় শঙ্কিতও বটে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যাসের সন্ধানের ওপর একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ তাদের টেকনেশিয়ান দিয়ে অনুসন্ধান করে যাতে সঠিক তথ্য উদঘাটন করতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করে আসলে বলা সম্ভব না মাটির নিচে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে কিনা। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বলা যাবে এখানে কতখানি গ্যাস মজুদ রয়েছে।
ভিডিও দেখুন
/এইচকে/