বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে দু’টি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে মায়ের মৃত্যু ও মেয়ের নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার বিকালে নগরীর বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) এসএম মাহবুব আলম জানান, শনিবার দুপুরের পর ডা. গোলাম সরোয়ার বাদী হয়ে দুই স্পিডবোটের মালিক, চালক, হেলপার, ভোলা এবং বরিশালের স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ ৮জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলা দায়েরের পর বরিশালের স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি কালাম শরীফ এবং ওয়াহিদুল ইসলামকে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে শনিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( বিকাল ৫টা) ডা. গোলাম সরোয়ারের নিখোঁজ মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা সাহিরার (১৩) কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) এসএম মাহবুব আলম মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শুক্রবার রাতে ভোলা থেকে স্পিডবোটে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বরিশালে আসছিলেন।
রাত আটটার দিকে কীর্তনখোলা নদীর কড়ইতলা চ্যানেলে বরিশাল থেকে ভোলাগামী অন্য একটি স্পিডবোটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনা ঘটনাস্থলেই ডা. গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী নাশপতি বেগম (৪৫) নিহত হন এবং মেয়ে সাহিরার নিখোঁজ হন।
ডা. সরোয়ার, তার ভাগ্নে খোকন ও শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চর্ম বিভাগের চিকিৎসক প্রদীপ কুমার তীরে উঠতে সক্ষম হন।
এপিএইচ/
আরও পড়ুন: দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে মায়ের মৃত্যু, মেয়ে নিখোঁজ