যশোরের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় হলেও মানুষের মাঝে আনন্দ ছিল না। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে ফেরেন, তখন বাঙালি জাতি উল্লাসে ফেটে পড়ে; পরিপূর্ণতা পায় আমাদের বিজয়।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন এক মহান নেতা, যিনি দিনের পর দিন- যুগের পর যুগ মানুষের কল্যাণে সংগ্রাম করেছেন। নিজের দিকে তাকানোর ফুরসৎ পাননি। এই বাংলার স্বাধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনোই আপস করেননি। তারই কল্যাণে আজ আমরা মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।’
১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আইনজীবী সমিতির সামনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল তলাবিহীন ঝুড়ি। আমাদের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে শুরু করা হয় নানামুখী ষড়যন্ত্র। তারই অংশ হিসেবে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।’
এমপি নাবিল বলেন,‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে। তার সেই অসমাপ্ত কাজ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্পন্ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম; কয়েকটি সূচকে ভারত ও পাকিস্তানকে টপকে আমরা এখন শীর্ষে।’
তিনি বলেন, ‘আগে যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপেক্ষা করেছে- এখন তারাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনতে চাচ্ছে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান এমপি নাবিল।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সেক্রেটারি মেহেদি হাসান মিন্টু, শ্রমিকলীগ সভাপতি কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, শহর আওয়ামী লীগের নেতা কামাল হোসেন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুল কবীর বিজু প্রমুখ।
/বিটি/টিএন/