X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাগীব আলীর পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন বাগানের দুই ম্যানেজার

সিলেট প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:২৮আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:২৮

সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলী সিলেটের দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিয়ে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় দুজনের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্য দেন শহরতলীর মালনীছড়া চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মুনিম। মামলার যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ২৬ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষ করেই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিকের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে ১১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওই দিন সাক্ষীরা না আসায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত আজ  মঙ্গলবার সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, আত্মসাৎ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সরকারের পদস্থ তিন কর্মকর্তার একজন মামলার বাদী ও অন্য দুজন তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। রাগিব আলীর পক্ষে শহরতলীর বিমানবন্দর রোডের মালনী ছড়া চা বাগানের দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত এ মামলার যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে দখল নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী নিজের ও স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ। ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে। ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেফতার হন।

/বিটি/

আরও পড়ুন:
চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে প্রবাসীকে হত্যা!

রসরাজের আড়াই মাসের জেলজীবন

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হাসপাতালের বদলে শিশুরা ঘুমাচ্ছে স্বজনের কোলে
হাসপাতালের বদলে শিশুরা ঘুমাচ্ছে স্বজনের কোলে
পারটেক্সের বিপক্ষে হেরে রূপগঞ্জ টাইগার্সের অবনমন
পারটেক্সের বিপক্ষে হেরে রূপগঞ্জ টাইগার্সের অবনমন
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!