গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ইউনুস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামসহ (৩৫) জামায়াতের ১০ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহম্পতিবার সকাল পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সাইফুল ইসলামের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামে। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে অন্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত জানান, লিটন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ও পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে আরও ৯ জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জ থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। এরপর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারদের থানা হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুরের মধ্যে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে আহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। পরে এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জামায়াত-শিবির ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাসহ ৭০ জনেরও বেশি আটক হয়েছে পুলিশের হাতে।
/এফএস/
আরও পড়ুন-