X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভেঙে ফেলা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কার্যালয়

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৪আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৮

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কার্যালয় প্রায় পৌনে চার বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আইনি লড়াই চালিয়ে একটি মামলায় হেরে গেছে স্থানীয় বিএনপি। শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ওই কার্যালয়টি যেন না ভাঙে সে মামলার এখন নিস্পত্তি হয়ে গেছে। কার্যালয় না ভাঙতে বিএনপির দায়ের করা আপিল আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য বর্তমান স্থাপনা ভেঙে ফেলতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আনুসাঙ্গিক কাজ শেষে এটা ভাঙার কাজ শুরু হবে।

এদিকে বিএনপির এ পরাজয়ের কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা কাজ করছে। তারা বলছেন, আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামের সময় আসছে। ওই সময়ে কার্যালয় না থাকলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। তবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালের মার্চে ৯ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার পরেই বিএনপি নেতাদের জানানো হয়- ভবন নির্মাণের পর তাদের বর্তমানে যতটুকু জায়গায় কার্যালয় আছে ততটুকু জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু তখন নগর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন আদালতে মামলা ঠুকে দেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল হক জানান, আদালতে মামলাটি নিস্পত্তি হয়েছে। অচিরেই সেখানে ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

সিটি করপোরেশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ৩০ জানুয়ারি সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা যুগ্ম জজ আদালত এ মামলার রায় ঘোষণার ধার্য তারিখ ছিল। সেদিন বিকালে আদালত বিএনপির আপিল খারিজ করে দেন। ফলে সিটি করপোরেশনের জন্য এখানে কোনও স্থাপনা ভাঙতে আর কোনও বাধা রইলো না।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘আমরা উন্নয়ন কাজের বিপক্ষে না। কিন্তু আমাদের সমপরিমাণ জায়গা দেবে কিনা সেটার কোনও দলিল না থাকায় আমরা কার্যালয় রক্ষায় মামলা করেছিলাম। এখন সিটি করপোরেশন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যদি সমাধানে আসে তাহলে ভালো। আর না হলে আমরা উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হবো। কারণ সামনে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় আসছে। তখন কার্যালয় না থাকলে ভুগতে হবে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, ১৯৯৭ সাল থেকেই এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করার চেষ্টা করে ওই সময়ের পৌরসভা যা বর্তমানে সিটি করপোরেশন। তখন থেকেই এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নোটিশ আদান প্রদান শুরু হয়। এরই মধ্যে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা সময়ে জেলার ৫টি সংসদীয় আসন ও দুইজন প্রভাবশালী মন্ত্রী থাকার পরেও কেউ কার্যালয় স্থায়ীকরণের উদ্যোগ নেয়নি।

/এফএস/

আরও পড়ুন-


কবে জুতা মুক্ত হবে শহীদ মিনার?

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন’
‘গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন’
‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’
‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’
প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা