গোপালগঞ্জে মুখে স্কচ টেপ পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রী অপহরণের সময় স্থানীয়রা তাওহীদ শেখ নামে এক অপহরণকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আহত ওই স্কুলছাত্রীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের আলিঠাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। কোটালীপাড়া থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, অপহরণকারী তাওহীদ শেখ কোটালীপাড়া উপজেলার সিতাইকুন্ড গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে। সে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের গণিত বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সে টিউশনি করে।
ওই ছাত্রী কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
ওই ছাত্রী জানিয়েছে, ‘তার স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক মিল্টন বাড়ৈ অলিঠাপাড়া গ্রামের নওশের মুন্সীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিয়মিত ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই শিক্ষকের কাছে প্রইভেট পড়া শেষে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় ওই স্কুলছাত্রী । পথিমধ্যে তাওহিদ পেছন থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে জোর করে ভ্যানে তোলে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতা তাওহিদকে মারপিট দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ১ বছর আগে তাওহীদ হাউস টিউটর হিসেবে তাকে প্রইভেট পড়াতো। এ সময় সে তাকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু সে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানন করে বিষয়টি মা-বাবাকে জানিয়ে দেয়। পরে মা-বাবা তাওহীদকে গৃহ-শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাওহিদ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করে।’
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘তাওহীদের চরিত্র খারাপ। সে মাদকসেবী। বাড়িতে প্রইভেট পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে সে আগেও কয়েকটি মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছি।’
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, ‘মুখে স্কচ টেপ পেচানোর সময় সে মুখে আঘাত পেয়েছে। এছাড়া সে কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত। এ কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
কোটালীপাড়া থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
/এমএনএইচ/