জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খাঁনের গ্রামের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারে দ্বিতীয়দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনবাড়ি) গ্রামের বাড়িতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা একটি পুকুরের পানি সেচ দিচ্ছেন।
এর আগে, বুধবার রাত ১টার দিকে কাদের খাঁনের বাড়ির উঠানের গর্তের নিচ থেকে একটি পিস্তুল, ছয় রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিয়ার রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কাদের খাঁনকে গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুর থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে তল্লাশি চালায়। এছাড়া বুধবার বাড়ির সামনের তিনটি পুকুরের মধ্যে দুটিতে পানির মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে অভিযান চালানো হয়। অপর পুকুরটি আজ তল্লাশি চালানো হবে।
তিনি আরও জানান, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এখনও কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়িতে এমপি লিটনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ৫২ দিন পর জড়িত সন্দেহে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আবদুল কাদের খাঁনকে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বগুড়া জেলা শহরের কাদের খানের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে আটক করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া থেকে পুলিশভ্যানে করে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়।
/এআর/