খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সদরের সরল গ্রামে এমপিপুত্রের তোলা দেয়ালে একবছর অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত হলেন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ গোলদার ও তার পরিবারের সদস্যরা। রবিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত উভয়পক্ষের কাগজপত্র যাচাই শেষে এই প্রাচীর ভেঙে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান এ দেয়াল ভাঙার সময় উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটই এ দেয়াল ভাঙার কাজটি তদারকি করেন। তার সহায়তার জন্য আমি থানা পুলিশ নিয়ে সেখানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করেছি।’
জানা যায়, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. নুরুল হকের ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম স্থানীয় ঠাকুরদাস ও অজিত হালদারের কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ৫০ শতক সম্পত্তি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন। যার আওতায় পড়ে পৌর আওয়ামী লীগের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ গোলদারের ৫০ বছরের ভোগ দখল করা বিশ শতক জমি। চারদিক প্রাচীর দেওয়ায় আজিজ পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা ও সংবাদ সম্মেলনও করে দুপক্ষ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হক জানান, প্রাচীর ভেঙে পথ বের করার বিষয়টি শুনেছি। সেখানে বিকল্প একটি পথ থাকলেও জনস্বার্থে আরও ২টি জায়গা থেকে পথ বের করলেও আমার কিছু বলার নেই।
জমির প্রকৃত মালিক ঠাকুর দাশ হালদার জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তাদের দখলে ছিল। ১৯৯৬ সালের দিকে জমিটি খাস তালিকাভূক্ত হয়ে খাস খতিয়ানে যায়। এ অবস্থায় গত বছরের শুরুতে জমিটি উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় এমপির সহযোগিতা কামনা করা হয়েছিল। সে সময় জমিটি মুক্ত করার সুবিধার্থে এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলামের নামে বিনা অর্থে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এমপিপুত্রের তোলা দেয়ালে অবরুদ্ধ আ.লীগ নেতার পরিবার
/এমও/