X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

সিফাত হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪৭আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪৯

রাবি শিক্ষার্থী ওয়াহিদা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মৌন মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগের সামনে মঙ্গলবার বেলা ১২ থেকে আধা ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল, প্রভাষক মামুন আ. কাইয়ুম, সোমাদেবসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল ফোনে বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে বলা হলেও রায় দেওয়া হয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনা হিসেবে। আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় পাইনি। তাই পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।‘

এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় সিফাতের পরিবারও। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান মামলার বাদী সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান।

এর আগে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ সিফাতের স্বামী মো. আসিফ প্রিসলির ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। রায়ে বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলায় আসামি ছিলেন- সিফাতের স্বামী মো. আসিফ প্রিসলি, শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী ও সিফাতের মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। এরপর থেকে সংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে কুপিয়ে জখম

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক