আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় অংশ নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলে ছিলেন। প্রতিটি ছন্দে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অমর। যেদিকে যাবেন সেদিকে সুরঞ্জিতের ছায়া আছে মনে হয়। তিনি যেন কিছু বলছেন। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকার সময় প্রধানমন্ত্রীর পরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পরামর্শ গ্রহণ করেছি। আমি সব সময় তার পরামর্শ নিয়েছি।’
বুধবার বিকেল ৪ টায় দিরাই উপজেলা সদরের বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সর্দারের সভাপতিত্বে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দিরাই ও শাল্লা এলাকার কয়েক হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবেন। চিরকাল বাংলার মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি শুধু ভাটি বাংলার নেতা নন বাংলাদেশের নেতা।’
আহমদ হোসেন আরও বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো নেতা হওয়া এতো সহজ নয়। তিনি সংবিধানের কথা বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যিনি গণমানুষের রাজনীতি করেছেন তিনি হলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমাকে জনমানুষের নেতা বানিয়েছেন। তিনি না থাকলে আমি নেতা হতে পারতাম না।’ দিরাই-শাল্লার উপ-নির্বাচনে তিনি জয়া সেনগুপ্তকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ড. জয়া সেনগুপ্ত প্রয়াত এ নেতার ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দেখার আহ্বান জানান এবং উপ-নির্বাচনে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শোকসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল মজিদ খান এমপি, শফিকুর রহমান এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, শামছুন বেগম শাহানা রব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন প্রমুখ।
/এএ/