X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে বিল্লাল হত্যা মামলায় তিন কিশোরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

শেরপুর প্রতিনিধি
০৯ মার্চ ২০১৭, ১৭:০৩আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৭, ১৭:০৪

কারাদণ্ড

শেরপুরের শিশু বিল্লাল (১২)হত্যা মামলায় তিন কিশোরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।   

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইগাতীর গিলাগাছা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে নূর হোসেন (১৬) শেরপুর পৌর শহরের শেরীপাড়া মহল্লার আব্দুর রশিদের ছেলে ছানুয়ার হোসেন ওরফে মান্নান (১৫)ও একই মহল্লার মৃত শাহাদতের ছেলে বিষু (১৯)। আসামিদের মধ্যে ছানুয়ার হোসেন আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন কিশোর রেস্টুরেন্টে কাজ করার পাশাপাশি চোরদলের সদস্য ছিল। ২০১১ সালের ২৩ মে আসামি নূর হোসেন একটি মোবাইল চুরি করে তা বিক্রি করে। এসময় নবীনগর এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী বিল্লাল তা দেখে ফেলে এবং টাকার ভাগ চায়। কিন্তু নূর হোসেন তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরদিন বিল্লাল কয়েক জনের সামনে নূর হোসেনকে চোর বলে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূর হোসেন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক ২৪ মে রাতে নূর হোসেন তার সহযোগী ছানুয়ার ও বিষু সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিনেমা দেখায় কথা বলে শিশু বিল্লালকে নিয়ে যায়। পরে তাকে সদর উপজেলার বয়রা পরানপুর ভাটারাঘাট এলাকার মৃগী নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে বিল্লালকে হত্যার পর তার লাশ একটি ট্রাংকে ঢুকিয়ে মৃগী নদীতে ফেলে দেয়।

পরদিন জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে ওই ট্রাংকের সন্ধ্যান পায়। পরে পুলিশ এসে বিল্লালের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ আগস্ট সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো.মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০০ ধারায় ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও আসামিদের বয়স কম হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান না করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠাণ্ডু এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: সাঁওতাল পল্লীতে আগুন: চিহ্নিত দুই পুলিশ সদস্যই এখন রিজার্ভ ফোর্সে

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি