যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের (জিএসপি) বিষয়ে মার্কিন সরকার এখনও আগের অবস্থানেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকালে সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আশুলিয়ার ইউনিক বাসস্ট্যান্ডে আওয়াজ ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসময় আরও বলেন, ‘জিএসপি’র জন্য যে শর্তগুলো বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেগুলো পূরণ করতে হবে। সেগুলো প্রতিপালনে সরকারকে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তবে মূল কাজটা কিন্তু শিল্প মালিকদেরই।’ বার্নিকাট বলেন, তিনি নিজেও চান বাংলাদেশ এই সুবিধাভুক্ত হোক। তবে সে জন্য আরও উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি।
পোশাক খাতে অশান্ত পরিবেশ, মজুরি নিয়ে প্রশ্ন এসব বিষয় তোলা হলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি- বেতন বাড়াতে হবে এমন দাবি করা হয়। তবে আমি বলবো এটি একান্তই মালিক ও শ্রমিকের বিষয়। ঘরের স্ত্রীর সঙ্গে যদি ভালো সম্পর্ক তৈরি করা যায় তবে কোনও দ্বন্দ্ব থাকে না। সেখানে কোনও তৃতীয় পক্ষও অনুপ্রবেশ করতে পারে না। অস্থিরতা হয় না। এছাড়াও শ্রমিকদের আলোচনা করার মতো কোনও ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় শ্রমিকদের কথা বলার জায়গা নেই। বাংলাদেশকেও পোশাক খাতের সেই অস্থিরতা দূর করতে নিজেদের মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের উন্নয়ন করতে হবে।’
মালিক শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা যথাযথভাবে তাদের অধিকার আদায়ে সঠিক ব্যক্তির কাছে যেতে পারেন না। এ বিষয়ে শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা অনেক।’ টেকসই তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক মজুরি, তাদের সন্তানদের কল্যাণসহ নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন বলেও যোগ করেন বার্নিকাট।
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জিরাবো এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি জিরাবো শাখা অফিস পরিদর্শন করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদুতের সঙ্গে এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেত্রী নাজমা রহমান, বিজিএমইএর ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।
/এফএস/
আরও পড়ুন-