পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘সরকার জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কিন্তু সমূলে উৎপাটন করতে পারেনি। শুধু পুলিশ বা র্যাব বাহিনী দিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব না। এ জন্য সমাজের শিক্ষক, মসজিদের ঈমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গি নির্মূল সম্ভব নয়।’
শনিবার দুপুরে রাজশাহীর মাদার বখ্শ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের রজত জয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার কলেজ চত্বরেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদের ব্যাপারে এত ব্যাখা দেওয়ার কারণ হলো-আপনার পাশে যে সন্তান আছে, সে একদিন বড় হবে। তার দিকে খেয়াল রাখুন। সতর্ক থাকতে হবে যেন আমাদের আদরের সন্তান বিপথে চলে না যায়। সন্তানের সন্দেহজনক কোনও আচরণ দেখলে যারা সমাধান দিতে পারবে, তাদের জানান। শুধরে নেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ঝুঁকির মধ্যে আছি। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের এ সমস্যাটি ছিল না। গোটা বিশ্বে জঙ্গিবাদের যে কালো ছায়া, তা এখন বাংলাদেশেও কিছুটা পড়তে শুরু করেছে। অনেকে রাজনীতির জন্য অতীতে জঙ্গিদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ভেবেছিলেন-এটা তাদেরকে রাজনীতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু তারাও হয়তো বুঝতে পারেননি এটি কতোটা ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী শহরে এক সময় জঙ্গিরা দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠিন সিদ্ধান্ত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমরা জঙ্গিবাদ কন্ট্রোলে রাখতে পেরেছি। সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম-উল-আযীম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি।
সভাপতিত্ব করেন মাদার বখ্শ্ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। রজত জয়ন্তী উৎযাপন কমিটির আহ্বায়ক আখতার বানুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ সালমা শাহাদাতসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য দেন।
দু’দিনের এই উৎসব রবিবার শেষ হবে।
/বিএল/
