সাতক্ষীরার ঘোনা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বুকে আঘাত লাগার কারণেই মারা গেছেন। তার ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে এই তথ্যই জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরার তিন চিকিৎসক ডা. ফরহাদ জামিল, ডা. কামরুল ইসলাম ও ডা. নাসির উদ্দীন গাজী এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মার্চ ময়না তদন্ত বোর্ডের সদস্যরা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন গত ১২ মার্চ এই প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত (২৪ মার্চ) ওই প্রতিবেদন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেনের নিকট আসেনি। কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ার জন্য নিশ্চিত করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলার ময়না তদন্তের প্রতিবেদন কেন তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আসেনি সেটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী আক্তারুল ইসলাম শিমুল।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাওনা টাকা চাওয়ায় ঘোনা বাজারে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে আহত করে দেনাদাররা। ওই রাতে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘোনা গ্রামের মোমিনুল ইসলাম, ওয়াদুদ, মুন্না হোসেন ও মো. রনিকে গ্রেফতার করে।
এরপর নিহতের ছেলে আক্তারুল ইসলাম শিমুল বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় এজাহার দাখিল করেন। এ মামলার তিন আসামিকে এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।
/এফএস/