সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার শিববাড়ির পাঠানপাড়া এলাকায় এখন পিন পতন নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। শনিবার রাতে দুই দফা বিস্ফোরণের পর নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নগরীতে প্রবেশের মূল প্রবেশ পথসহ প্রত্যেকটি জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে পুলিশের কাছে কোনও ধরনের মেটাল ডিরেক্টর নেই। তল্লাশি চালানোর এ সরঞ্জাম ছাড়াই তারা কাজ চালাচ্ছেন।
মূল প্রবেশ পথ ছাড়াও এলাকাভিত্তিক রাস্তাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না।
শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় এখনও অভিযান শেষ হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে সাংবাদিকসহ অন্যান্যদের অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখন ওই এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রেনেডের স্প্লিন্টার সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে, কোনও বাড়ি সন্দেহজনক মনে হলে সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
পাঠানপাড়া এলাকার স্থানীয় জামে মসজিদের কাছে শনিবার সন্ধ্যায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই পুলিশসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে আরও ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। ‘আতিয়া মহল’ থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের ৬০ গজের মধ্যেই সেনাবাহিনীর একটি প্রেস ব্রিফিং চলছিল।
নিহতরা হলেন, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য চোধুরী মুহাম্মদ আবু কায়সার দীপু, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুল ইসলাম অপু , শহীদুল ইসলাম ও আব্দুল কাদের।
রাতে জালালাবাদ থানার অপারেটর আমজাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় রাত ১টা ৫০ মিনিটে মারা যান। ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফাহিমও রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
/এসটি/