ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ কর্মী রিপন (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ২৫ থেকে ২৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোনাগাজীর বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রতিপক্ষের গুলিতে শনিবার তিনি গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত রাত দেড়টার সময় তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। রিপনের মৃত্যুর খবরে তার সমর্থকেরা তাকিয়া বাজারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
রবিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় নিহতের পিতা সফিকুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
নিহতের মা সাজেদা বেগম অভিযোগ করেন, স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রিপনের সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল, যুবলীগ নেতা এরশাদ,ভাবলু,মনছুর রাসেল,জনি ও লাতু মিয়ার বিরোধ চলছে।
বিরোধের জের ধরে শনিবার রাতে রিপন স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম ও আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মোজাম্মেলের নেতৃত্ব সন্ত্রাসীরা পথরোধ করে রিপনকে গুলি করে। অন্যরা পালিয়ে গেলে তারা আবার তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিপনের লাশ ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । এ ঘটসায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ এ ঘটনায় ইউপি সদস্য সেলিম, রুস্তম আলী ও বেলায়েত হোসেন চুট্টু নামে তিন জনকে আটক করেছে।
/এফএস/টিএন/