ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নানিয়ারচর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমার মৃত্যুর প্রতিবাদের রাঙামাটিতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। তবে শহরে অন্য কোনও জায়গায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। শহরের একমাত্র যানবাহন অটোরিক্সা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে, অবরোধের কারণে রাঙামাটি শহরের আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ আছে। শহর থেকে কোনও লঞ্চ সকালে উপজেলার উদেশ্যে ছেড়ে যায়নি। এমনকি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালনের খবর পাওয়া গেছে।
ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিক চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রমেল চাকমার মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচার করতে হবে।’
রাঙামাটি কোতয়োলী থানার এসআই সৌরজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। কোথাও কোনও পিকেটিং নেই। তবে দূরপাল্লার কোনও গাড়ি ছেড়ে না গেলেও শহরের যান চলাচল স্বভাবিক আছে।’
উল্লেখ্য, নানিয়ারচর উপজেলায় দুইটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গত ৫ এপ্রিল নানিয়ারচর বাজার থেকে রমেল চাকমাকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে নানিয়ারচর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর রমেল চাকমা বুকে ব্যথা অনুভবের কথা জানালে গত ৬ এপ্রিল পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত ১৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রমেল সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মারা গেছে কিনা- এধরনের অভিযোগ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।
/এসএনএইচ/