ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রতিপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় বিজয়নগরসহ চার উপজেলায় ১৪৪ ধারা চলছে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিজয়নগর উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং তিন শতাধিক পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বিজয়নগরে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় চার উপজেলায় সব ধরণের সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া জানান, ‘বিজয়নগর হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের আওতাভুক্ত। এই আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। ওনাকে বাদ দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অনৈতিকভাবে তার নির্বাচনি এলাকায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস উদ্বোধন করতে আসছেন। যার কারণে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ আগে থেকেই হরতাল আহ্বান সহ মন্ত্রীর এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সফরের বিরোধিতা করে আসছি। আমরা ১৪৪ ধারার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে কেউ যদি তা এই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তাহলে আমরাও তা ভাঙবো।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আরশাদ বলেন, ‘পুরো উপজেলা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপ্রতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বিজয়নগর উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি, তিন শতাধিক পুলিশ, এপিবিএন, র্র্যাব সদস্য বিজয়নগরে দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ ১৪৪ ধারা অমান্য করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
উল্লেখ্য, আজ রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নবনির্মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন ও এক সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাড. ছায়েদুল হকের। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. তানভীর ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে ওই দিন বিকালেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো রবিবার বিজয়নগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নামফলকও ভেঙে দেয়।
/এফএস/
আরও পড়ুন-