অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না। ভেঙে গেল সুনামগঞ্জের পাকনার হাওরের বাঁধটিও। সোমবার ভোরে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের স্বজনপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী টিয়াইন নদীর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় পাকনার হাওরের ১৫ হাজার একর জমির পাকা ধান। ফসল রক্ষা বাঁধের নিচের চোরাই ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে ভেঙে যায় বাঁধটি। এখন পর্যন্ত বাঁধের ৪০ ফুট এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বেগে পানি ঢুকে ভেসে যাচ্ছে হাজার হাজার একর জমির ধান।
কৃষকরা ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পানির তীব্র স্রোতে অনেকের কাটা ধানও পানিতে পড়ে আছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দিরাই, জামালগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার দেড় লাখ কৃষকের পাকা ধান তলিয়ে যাচ্ছে।
ফেনারবাগ ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রানা বলেন, বাঁধের নিচে চোরাই ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে হাজার হাজার একর জমির পাকা ধান তলিয়ে যাচ্ছে।
নাজিরনগর গ্রামের খোরশেদ মিয়া বলেন, পিআইসিদের অবহেলার কারণেই বাঁধ ভেঙে গেছে।
ভীমখালি গ্রামের আখতারুজ্জামান বলেন, পুরো পাকনার হাওরের ধান পেকে গিয়েছিল। কিন্ত পিআইসিদের সামান্য অবহেলায় বাঁধ ভেঙে গেছে।
চামলাবাগ গ্রামের মোখলেছ মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড পিআইসিকে লাখ লাখ টাকা দেয়।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ওরা সব লুটেপুটে খায়।’
এর আগে রবিবার গভীররাতে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের বাঁধ ভেঙে ২২ হাজার একর জমির ফসল তলিয়ে যায়।
এছাড়াও এই মাসের শুরুতেই পাহাড়ি ঢলে ও হাওরের বাঁধ ভেঙে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো ধান তলিয়ে যায়।
/বিএল/