শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরর্দী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেলেও ওইসব উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান এখনও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এরমধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলাতেই ফসল তলিয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির। ফলে ওইসব এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। বর্তমানে পহাড়ি নদী মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি ও ভোগাই নদীর পানি বিপদ সীমানার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঝিনাইগাতি উপজেলার সদর ইউনিয়ন, গৌরীপুর, হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ভাটি এলাকার নিম্নাঞ্চলে ঢলের পানি জমে বন্যার রূপ ধারণ করেছে। ফলে ওইসব এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখনও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, আর বৃষ্টি বা ঢল না আসলেও ওই পানি কমতে সাত দিন থেকে এক মাস সময় লাগবে। বিশেষ করে কিছু কিছু এলাকার পানি সাতদিনের মধ্যে কমে গেলেও অনেক নিম্নাঞ্চল বা বিল রয়েছে যেসব এলাকার পানি কমতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ জেড এম শরীফ হোসেন জানান, পাহাড়ি নদীতে এখন আর ঢল নেই। নদীর পানি অনেক নিচে নেমে গেছে। উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কিছুটা আংশিক এবং কিছু সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের কাজ চলছে। চূড়ান্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির উঠতি বোরো ধান বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যেহেতু ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে তাই উজানের অনেক জমির ধান জেগে উঠবে।
/বিএল/