হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে আরও ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ফলে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। পানি বাড়তে থাকায় কৃষকরা জমির আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছে।
সোমবার সকালে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর লাখাই অংশের বাঁধ ভেঙে লাখাই উপজেলার ভরপূর্ণি বুল্লা, হাওরসহ আশাপশের ১৬ হাজার কৃষকের আরও ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এর পরিমান আরও বাড়বে।
জেলায় চলতি বছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। তবে হাওরের পানি অব্যাহত ভাবে বাড়তে থাকায় কৃষকরা জমি থেকে আধা পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন।
লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক আব্দুল আহাদ জানান, শেষ সম্বুলটুকু তলিয়ে যাওয়ার পরিবার নিয়ে অনেকটা বিপাকে পাড়েছি। ফলে ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক মতি মিয়া জানান, অনেক ঋণ করে জমিতে আবাদ করেছিলাম। কিন্তু বন্যায় সব হারিয়ে এখন পথে বসেছে।
স্থানীয় বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বেনু বলেন, কৃষকরা সবকুল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে সরকারি কিছু সাহায্য সহযোগিতা পেলে কৃষকরা রক্ষা পেতেন।
লাখাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, লাখাই উপজেলার বুল্লাসহ ৩টি ইউনিয়নের ১৬ হাজার কৃষকের সব জমি খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে। বরাদ্দ পাওয়া সত্তেও পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিকভাবে বাঁধ মেরামত করতে না পারায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী অফিসার তাওহীদুল ইসলাম জানান, ‘আমি হবিগঞ্জে যোগদানের আগেই বাঁধ মেরামত করা হয়। তাই সেখানে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারি না।’
/এসএনএইচ/