X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় অবৈধ সনদে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি
৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৪০আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০২

বগুড়া বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কড়ই মোহাম্মদ কাবেল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি দারুল ইহ্সান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ সনদ নিয়েছেন। আর এ প্রক্রিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান রাজু সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে রাজু খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিতে আমি নেই, তাই টাকা নেওয়া বা নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকার সুযোগ নেই আমার।’

বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও কুন্দুগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বেলাল হোসেন জানান, ‘সাবেক কমিটি ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগে গত ২০১৫ সালের শেষে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। তার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটি একই এলাকার মিলন আকন্দ নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছে। মিলন তার আবেদনে সর্বোচ্চ শিক্ষাসনদ হিসেবে দারুল ইহ্সান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের সনদ জমা দেন। অথচ ২০০৬ সালে হাইকোর্ট ওই প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী সনদপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।’

বর্তমান সভাপতি এসএম বেলাল বলেন, ‘সাবেক কমিটি বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে এ নিয়োগ সম্পন্ন করেছে। আমি সভাপতি হওয়ার পর শুধু নিয়োগটি বৈধ করেছি। তবে ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কাগজপত্র এখনও সম্পন্ন হয়নি। সাবেক কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নয়ন চন্দ্র মজুমদার ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের যোগসাজসে সাত জন শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে অন্তত ৮০ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছেন।’

সাবেক সভাপতির সই জাল এবং ওভাররাইটিং করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান শিক্ষক জেল হাজতে রয়েছেন। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের সনদ জমা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক নয়ন চন্দ্র মজুমদার। তবে চাকরির বিনিময়ে টাকা দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান সাহানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সময় ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নিয়োগ দিয়েছে বর্তমান কমিটি। জমিদান করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। পুলিশের তদন্তেও দুর্নীতির অভিযোগে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের নভেম্বরে চারজন শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগের সময় তারা (শিক্ষক-কর্মচারি) বিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমাকে ১৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান রাজু নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি ওই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এছাড়া ওই সময়ের শিক্ষা কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে নিয়োগ বন্ধ করে দেন। ইতোমধ্যে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আমি ওই সময় জমি বিক্রি করে প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিয়েছি।’

লুৎফর রহমান সাহানা জানান, ‘সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বর্তমান সভাপতি এসএম বেলাল হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমার সই জাল করে এবং রেজুলেশন খাতায় ওভার রাইটিং করে হিন্দু ধর্মের শিক্ষকের সঙ্গে গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহকারিও নিয়োগ দেখান। এ কারণে আদালত গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহকারির বেতন ভাতা উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন।’

/এসএমএ/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুকি চিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা: নুর
কুকি চিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা: নুর
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
ভ্রমণ শেষে ভারত থেকে তিন দিনে ফিরলেন ১৫ হাজার পর্যটক
ভ্রমণ শেষে ভারত থেকে তিন দিনে ফিরলেন ১৫ হাজার পর্যটক