X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় শেবাচিমে ৩ তদন্ত কমিটি

বরিশাল প্রতিনিধি
১৩ মে ২০১৭, ১৮:৪১আপডেট : ১৩ মে ২০১৭, ১৮:৫৪

শেবাচিম বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুর থেকে সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় ১২ সদস্যের পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) সকালে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম এই কমিটিগুলো তৈরি করে দেন। এদিকে, এ ঘটনায় আটক হাসপাতাল কর্মচারী শেফালী বেগম ও তার ছেলে মামুনের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ আত্মসাতের দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. আব্দুল কাদিরকে প্রধান করে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ওষুধ ইন্ডেন্ট ও বণ্টনের হিসাব তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে পরিচালক কার্যালয়ে রিপোর্ট জমা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সিরাজুল ইসলাম জানান, এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— মেডিসিন বর্হিবিভাগের আরপি ডা. এম আর খান, মেডিসিন-১ ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. মো. সালমান হোসেন, মেডিসিন-২ ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. গোলাম ইসতিয়াক কল্লোল, মেডিসিন-৩ ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম ও মেডিসিন-৪ ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. নওয়াজ হোসেন।
উদ্ধার হওয়া ওষুধগুলো হাসপাতালের মেডিসিন সাব-স্টোরের কিনা, তা তদন্ত করতে তিন সদস্যের পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মশিউর আলমকে প্রধান করে। এই কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন— শিশু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. ফজলুল হক পনির ও উচ্চমান সহকারী মো. গোলাম ফারুক মৃধা।
অন্যদিকে ওষুধগুলো হাসপাতালের মেডিসিন মেইন স্টোরের কিনা তা তদন্ত করতে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. ইউনুস আলীকে প্রধান এবং সার্জারি বিভাগের অবাসিক সার্জন ডা. মো. আব্দুর রহিম ও অফিস সহকারী সৈয়দ মাকসুদুল আলমকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পরের দুই কমিটিকে রবিবার (১৪ মে) অফিস সময়ের মধ্যে পরিচালকের কার্যালয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বরিশাল কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মো. আওলাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এ ঘটনায় আটক দু’জনের বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দু বাদী হয়ে সরকারি ওষুধ বিক্রির দায়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবনের সামনের একটি পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে ওই পুকুর সংলগ্ন হাসপাতালের আয়া শেফালী বেগমের বাসা থেকে আরও ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আয়া শেফালী বেগম ও তার ছেলে মামুনকে আটক করে পুলিশ।
/টিআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!