দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে মুরাদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মিছিল পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন অংশগ্রহণকারীরা।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘নিপীড়নপ্রবণ সমাজের একটি ভয়ংকর দিক হচ্ছে যৌন সহিংসতা। যৌন সহিংসতার সাথে ক্ষমতার সম্পর্ক জড়িত। ক্ষমতার কারণে যে বেপরোয়া চিন্তা-ভাবনা, মানুষের প্রতি অসম্মান ও বাহাদুরি তৈরি হয় তার কারণেই নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে নীরবতা ভঙ্গ করাই সবচেয়ে বড় লড়াই।’
সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি বলেন, ‘ধর্ষণের জন্য নারীর পোষাক, চালচলনকে দায়ী করতে একটি পক্ষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের প্রতি প্রশ্ন, তাহলে শিশুরা কেন যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে?’
দেশব্যাপী চলমান যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার হালিমা আখতারসহ অনেকে।
মুরাদ চত্বরের সমাবেশ শেষে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্ত্বরে একই ব্যানারে আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান সান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম, ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি সংসদের সাধরণ সম্পাদক মাহাথির মুহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
/এমএ/