বগুড়ার এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র মাসুক ফেরদৌস (১৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেওয়া বিদারুল ইসলাম নাঈমকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে তাকে যশোরের পুলেরহাট শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সে মাসুক হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর ম্যজিস্ট্রেট তাকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে নাঈমকে যশোরের পুলেরহাট শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে রাত ৯টার দিকে বগুড়া শহরতলির মাটিডালি হাজিপাড়ায় স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌসকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৬ মে তার বাবা জাসদ কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক এমদাদ সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় জাতীয় ক্রিকেট দলের এক ক্রিকেটারের বাবা মাহবুব হামিদ তারা, চাচা পৌর কাউন্সিলর মেজবাউল হামিদ মেজবাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে তিনি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এদিকে, হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন মাহবুব হামিদ তারা।
/বিএল/
আরও পড়ুন:
প্রতিশোধ নিতেই স্কুলছাত্র মাসুককে হত্যা করে খেলার সঙ্গী নাঈম!