X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

মিঠু হত্যা মামলায় ২ দেহরক্ষীসহ আটক ৪

খুলনা প্রতিনিধি
২৯ মে ২০১৭, ০০:৪৫আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ০০:৪৬

মিঠু হত্যা মামলায় ২ দেহরক্ষীসহ আটক ৪ খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যা মামলায় তার দুই দেহরক্ষী ও বিএনপির দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ মে) বিকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালালের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ এ বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে তিনি নিরাপত্তার কারণে কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে সোমবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় এসপি’র কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।

নিহত বিএনপি নেতা মিঠুর ভাই সরদার সেলিম বলেন, ‘শনিবার রাতে শিমুল হাওলাদার ও সাদ্দাম নামে মিঠুর দুই দেহরক্ষীকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। এছাড়া ফুলতলা থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মাশার্ল ভূইয়া ও মোতাহার হোসেন কিরণকে আটক করা হয়েছে। মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুও দলীয় এই দুই নেতাকে আটকের কথা শুনেছেন।’

এদিকে রবিবার দুপুরে ফুলতলা থানার প্রধান ফটক বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওই সময় মিঠুর দেহরক্ষী শিমুলের বাবা ও পরিবারের সদস্যদের থানার সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। শিমুল ও সাদ্দামকে পুলিশ আটক করেছে বলে তারা জানান।

শিমুল হাওলাদারের বাবা মিজান হাওলাদার জানান, তার ছেলেকে শনিবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে ডেকে এনেছে। তারপর থেকেই তার ছেলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রবিবার সকালে থানায় এসে ছেলেকে দেখলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে রবিবার বিকালে দিঘলীয়া উপজেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দাদোলের খাস কামরায় জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এ সময় ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী, জেলা গোয়েন্দা আক্কাস আলী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে নিজ অফিসে খুলনার ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু (৪৫) ও তার দেহরক্ষী নওশের গাজীকে (৪২) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে ১৯৯৮ সালে মিঠুর বাবা সরদার আবুল কাসেমকে হত্যা করা হয়। এরপর ২০১০ সালে এ পরিবারের আরেক সদস্য মিঠুর বড় ভাই সরদার আবু সাইদ বাদলকেও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ধারাবাহিক হত্যার সর্বশেষ শিকার হন মিঠু। আবুল কাসেম ও আবু সাইদ উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে, আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে, আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য
স্লিপিং ট্যাবলেট খেলেও ভূতের ভয়ে সরকারের ঘুম আসে না: গয়েশ্বর
স্লিপিং ট্যাবলেট খেলেও ভূতের ভয়ে সরকারের ঘুম আসে না: গয়েশ্বর
অবন্তিকার আত্মহত্যা: প্রশাসনকে লালকার্ড দেখালেন শিক্ষার্থীরা
অবন্তিকার আত্মহত্যা: প্রশাসনকে লালকার্ড দেখালেন শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: মেজর হাফিজ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
‘বিএনএমের সদস্য’ সাকিব আ.লীগের এমপি: যা বললেন ওবায়দুল কাদের
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার