X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে ঝড়ে বিধ্বস্ত স্কুলে পাঠদান ব্যাহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২৯ মে ২০১৭, ১৩:১১আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ১৩:১১

গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ভবন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। কখনও স্কুলের বারান্দায়, কখনও গাছতলায় চলছে পাঠদান। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনি এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে অবস্থিত  স্কুলটির পাশেই কোটালীপাড়া উপজেলা। দুই উপজেলার শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে পড়াশোনা করছে। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্কুলটির ভবন সংকট রয়েছে। ঝড়ে স্কুলের ৩ কক্ষের একটি টিনশেড ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। এক কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে শিক্ষকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর করতে বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন  শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

স্কুলের অফিস সহকারী মণি মোহন সেন বলেন, ‘বর্তমানে স্কুলে ৭০১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শ্রেণিকক্ষ মাত্র ৭টি। এর মধ্যে ঝড়ে ৩টি বির্ধস্ত হয়েছে। ফলে একটি কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে হচ্ছে।

স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র রক্তিম বাইন বলেন, ঝড়ে শ্রেণিকক্ষ বিধ্বস্ত হওয়ায় আমাদের ক্লাসে ১৪৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন কষ্ট করে স্কুলের বারন্দায় ও গাছ তলায় শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। এতে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে।

৮ম শ্রেণির ছাত্রী তিথি ঢালী বলেন, আমাদের ক্লাসে ১৪৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। একটি কক্ষে গাদাগাদি করে আমাদের বসেত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের পেছনের বসলে শিক্ষকের লেকচার ভালোভাবে শোনা যায় না। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক দেশবন্ধু বিশ্বাস বলেন, বিধি অনুয়ায়ী একটি ক্লাসে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মনোযোগ থাকে। শিক্ষকও শ্রেণি কক্ষটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু আমাদের স্কুলে প্রতি শ্রেণিতেই ২/৩ গুণ বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠ দান করাতে হচ্ছে। এতে মনোযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনি এলাকার এ স্কুলটির ফলাফল বরাবরই ভালো। স্কুলটি বরাবরই জেএসসি ও এসসসিতে ভালো ফলাফল করে আসছে। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে শ্রেণি সংকট দূর হবে। শিক্ষকরা আরও ভালোভাবে পাঠদান করতে পারবে। শিক্ষার মানও বাড়বে।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহ জালাল বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ভবনটি সংস্কারের জন্য আমি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। ফান্ড পাওয়া গেলে বিধ্বস্ত ভবনটি সংস্কার করা হবে। বহুতন ভবন নির্মাণের জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে।’

/এসএস/এসএনএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা