ঘূর্ণিঝড় মোরা আতঙ্কে রয়েছে চাঁদপুরের নদীপাড় ও চরাঞ্চলের মানুষ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মতো চাঁদপুরও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। এদিকে, কিছু কিছু অসচেতন জেলে এখনও নদীতে মাছ ধরছে বলে সন্ধ্যায় খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে চরাঞ্চলের মানুষের বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতন করার জন্য মাইকিং করার পর থেকে চরাঞ্চলের অনেকেই তাদের ঘরের টুকটাক কাজ সেরে নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় প্রস্ততি নিচ্ছেন নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার।
নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচর মাঝিরবাজার এলাকার জাকির হোসেন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে মাইকিং করা হয়েছে। আমরা নদীপাড়ের মানুষ একটু ভয়ের মধ্যেই আছি।
তিনি বলেন, এখানে সাইক্লোন শেল্টার নেই। তবে একটি প্রাইমারি স্কুল আছে। কোনও বিপদ হলে লোকজন সেখানে আশ্রয় নেবে। তবে সেখানে ১০-১৫টির বেশি পরিবার আশ্রয় নিতে পারবে না। এ এলাকায় ১০-১২ হাজার মানুষ বসবাস করে।
হাইমচর ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত সরকার বলেন, এখনতো আবহাওয়ায় থমথমে ভাব। এখানকার মানুষ আতঙ্কিত। কারণ, এটা চরাঞ্চল।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রশাসনও আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও নির্দেশনা দিচ্ছে। ট্রলারগুলো রেডি রেখেছি। কোনও সমস্যা হলে যেন মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া যায়। এছাড়া গরু-বাছুরগুলো মাটির টিলাতে আশ্রয় নিতে পারবে।
এ জনপ্রতিনিধি আরও জানান, মাইকিং করা সত্ত্বেও নদীর কোথাও কোথাও জেলেদের জাল বাইতে দেখা যাচ্ছে। এটি তাদের জন্য বিপজ্জনক।
চাঁদপুরের জেলা প্রসাশক আব্দুস সবুর মণ্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম গঠন, স্বেচ্ছাসেবক দল, ফায়ার সার্ভিস, শুকনা খাবার, খাবার পানিসহ দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সব জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
/বিএল/
আরও পড়ুন: