X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
২৯ মে ২০১৭, ২২:২৯আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ২২:৩৩

সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত গ্রাম ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের এসব গ্রাম প্লাবিত হয়।

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, সমিতি পাড়া, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পেকুয়ার রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। ফলে জোয়ারের পানিতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে সরে গিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঝারি ও হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা চার থেকে পাঁচ ফুট বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মাইকিং করছে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জানান, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর রেড ক্রিসেন্ট কক্সবাজার ইউনিটের ৫৫ জনের একটি টিম তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করাসহ লোকজনকে সরিয়ে আনছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, রাতের জোয়ারে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ইতোমধ্যে ওইসব এলাকায়  স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া কক্সবাজার শহরসহ জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অন্তত দুলাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে। একারণে গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিক্যাল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় থাকা ৪১৪টি ইউনিটের ছয় হাজার ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের নিরাপত্তার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা।

/এপিএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা