ঘূর্ণিঝড় মোরা’র ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের খোলা আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ৭৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলার ১৫টি উপজেলার উপকূলীয় ৭টি উপজেলার মানুষ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে এই রিপোর্ট লেখার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার হাসান-বিন-মাহমুদ আলী। তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া দুর্গত মানুষদের সেহরির জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামে বৃষ্টির আশঙ্কা বাড়ছে। উপকূলবর্তী এলাকার লোকজনও আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন।
হাসান-বিন-মাহমুদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা’র ক্ষয়ক্ষতি রোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় আছেন। তারা উপকূলবর্তী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। উপকূলীয় ৭টি উপজেলায় খোলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষকে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। যেন সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সেহরি খেতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, বাঁশখালীতে খোলা ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫০০ জন, আনোয়ারা উপজেলায় ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার জন, মিরসরাই উপজেলায় ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০০ জন, সীতাকুন্ড উপজেলায় ৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার জন, সন্দ্বীপ উপজেলায় ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ হাজার জন এবংচন্দনাইশ উপজেলায় ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭০ জন। এছাড়া নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান করা ৫০০ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপকূলবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী। অন্যদিকে নগরীর ওয়াসার মোড় এলাকায় সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ অফিসে খোলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে করপোরেশনের মোরা প্রতিরোধে গঠিত উদ্ধার টিমের সঙ্গে সমন্বয় করছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
/এমপি/