রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ৪টি ফেরিঘাট দিয়ে চলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে যাত্রী ও যানবাহ পারাপার। তবে এর মধ্যে ২টি ফেরিঘাট অধিকাংশ সময়েই নদী ভাঙন ও সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ থাকে।এতে ভোগান্তিতে পড়েন এ রুটের যাত্রী ও যান চালকেরা। এ কারণে নতুন দুটি ঘাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে কোনওভাবেই নতুন এ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা জেলার মেসার্স সাইফুল হাসান জোয়ারদার।
বর্তমানে নতুন ২টি ফেরিঘাটের মধ্যে লঞ্চঘাটের পাশেই শুরু হয়েছে একটি ফেরিঘাটের ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও এজিংসহ ৩৩ ফিট প্রস্থের সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ।যার বর্তমান চিত্র শুধু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালি ফেলা হচ্ছে। তবে ঈদের আগে কোনওভাবেই নতুন এ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।এ অবস্থায় ঈদের আগে কয়েক লাখ যানবাহন পারাপারে ঘাটগুলো সার্বক্ষণিক সচল রাখার দাবি স্থানীয়দের।তবে বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি হলে ঘাট বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে এ রুটের যাত্রীদের।
সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ ঘাটের পাশেই চলছে নতুন একটি ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ।যা করছে রাজবাড়ী জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার মেসার্স সাইফুল হাসান জোয়ারদার।বর্তমানে নদী থেকেই ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ভরাট বালি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা হচ্ছে, যা শুরু হয়েছে চলতি বছরের গত মে মাসের ২৪ তারিখ থেকে।
ড্রেজিং কাজের শ্রমিকদের সর্দার কোকিল সরদার জানান, প্রতিদিন এখানে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছে।ড্রেজিং চলছে এরপর বেড নির্মাণ ইট ফেলানো রোলার করে আবার খোয়া ফেলানো তারপর রোলার করে কার্পেটিং হবে।প্রায় ১ মাস ধরে কাজ চলছে, আরও মাস দেড়ক সময় লাগবে।তবে ঈদের আগে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে।
ঠিকাদারের ম্যানেজার মো. ইউনুস আলি জানান, ভরাটের কাজ শেষ হলেই সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কাজ দৃশ্যমান হবে।সব কিছুই প্রস্তুত আছে।আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা জেলার মেসার্স সাইফুল হাসান জোয়ারদারের স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিনিধি কাজী হেফাজত আলী (টিটো) বলেন, কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য নির্ধারিত সময় রয়েছে ৪ মাস (১২০দিন)। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তার কাজ দৃশ্যমান হবে।তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই নতুন ফেরিঘাটের এই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে বুঝিয়ে দিতে পারবো বলে আশা করছি।
/এআর/