রাঙামাটির লংগদুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার ৯ জনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ জুন) তিনদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমা সরকার তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন শাহ আলম, এম এ হালিম, রহমান, আ. জব্বার, রহিম, শরিফ, জিয়াবুল, রহমান ও সিদ্দিক।
কোর্ট ইন্সপেক্টর রঞ্জন সামন্ত বলেন, আসামিদের রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমা সরকারের আদালতে আনা হলে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১ জুন) লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোটরসাইলেক চালক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় পাওয়া যায়। স্থানীয় বাঙালিরা এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দায়ী করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে লংগদুবাসীর ব্যানারে নয়নের লাশ নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরে আসার পথে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় শতাধিক বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে, গত ৯ জুন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তারা নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানায় পুলিশ। নয়নের মোটরসাইকেলটিও দীঘিনালার মাইনী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি রমেল চাকমা ও জুনেল চাকমা পুলিশকে জানিয়েছে, মোটরসাইকেল ছিনতাই করার জন্যই তারা নয়নকে হত্যা করে। তবে নয়ন হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটরসাইকেলটি কোথাও নিয়ে যেতে পারেনি হত্যাকারীরা। পরে তারা মোটরসাইকেলটি মাইনী নদীতে ফেলে দেয়।
/বিএল/