মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মার চরে নিয়ে এক গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পাচঁশ টাকার নোটের ভাঙতি দেওয়ার কথা বলের ওই নারীকে পদ্মা পার করে নিয়ে এক স্পিডবোট চালক ও তার সহকারী ধর্ষণ করে। রবিবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে এবং সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় তরুণী নিজে বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান জানান, রবিবার রাত ১০টায় তরুণী তার স্বামীর বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া উপজেলার পলাশপুর গ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ফেরিতে করে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আসার জন্য রাত ১২টা নাগাদ তিনি কাঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছান। ফেরিটি দেরি করায় ওই গার্মেন্টসকর্মীসহ আরও কয়েকজন কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাট থেকে একটি স্পিডবোটে উঠে পদ্মা পাড়ি দেন। স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে নেমে যান। পাচঁশ টাকা নোটের ভাঙতি না থাকায় মেয়েটিকে দেরি করায় স্পিডবোট চালক ও আরও একজন যুবক। লোকজন দূরে চলে গেলে স্পিডবোট চালক সেটিকে ঘুরিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পদ্মার চরে যায়। সেখানে তাকে চরে নামিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রাত আড়াইটায় মেয়েটিকে শিমুলিয়া ঘাটে নামিয়ে দিয়ে দুই ধর্ষক স্পিডবোটটিকে ঘাটে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় এক রিকশাচালক লৌহজং থানায় নিয়ে আসেন। লৌহজং থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদা রঙয়ের স্পিডবোটটিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় লৌহজং থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিকে আমরা শনাক্ত করেছি, গ্রেফতার করতে একাধিক অভিযান চালিয়েছি। আলামত হিসেবে স্পিডবোটটি পুলিশ জব্দ করেছে। ঘাট ইজারাদার আশরাফকে বোট চালককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত স্পিডবোট চালক লৌহজংয়ের কুমাভোগ ইউনিয়নের ওয়ারী গ্রামের মজিদ কম্পানীর ছেলে রাজিব কম্পানী। অপরজন উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক শিকদারের ছেলে মিঠু শিকদার।
এদিকে, পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এস এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে তিন চার দিন লাগবে।
/এফএস/
আরও পড়ুন-