X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের রায়ের পরও উপেক্ষিত ফেনীর ৪২ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা

ফেনী প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০১৭, ১৭:৩২আপডেট : ২৩ জুন ২০১৭, ১৭:৩২

সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও ফেনীতে ন্যাপ কমিউনিস্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ও গেরিলা বাহিনীর ৪২ জন মুক্তিযোদ্ধা ঈদ বোনাসসহ ছয় মাসের সম্মানী ভাতা পাননি। আদালতের রায়ের পরও ভাতা না মেলায় এই মুক্তিযোদ্ধারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জেলা গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে, রায়ের কার্যকারিতা নেই। মুক্তিযোদ্ধারা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনও ফল পাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের রায় সবাই মানতে বাধ্য, না মানলে তা আদালত অবমাননার শামিল। আদালতের রায়কে অবমাননা করার অধিকার কারও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জামুখাকে বিবাদী করা হয়েছিলো। রায়ের পর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জামুখাকে রায়ের কপি দিয়ে অবগত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপিটি সব জেলা প্রশাসককে জানানো উচিৎ থাকলেও তা না করায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। অথচ আদালতের রায়ে দেশের ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা রায় প্রদানের ৬ মাস পরও তা কার্যকর করা হয়নি। ফলে ঈদের বোনাসসহ চলতি অর্থবছরের সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা।’

জেলার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন খোন্দকার, আবুল বশর ও সরিয়ত উল্যাহ জানান, সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট দিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরাচ্ছেন তাদের। সবার কাছে ছোট করে অপমান করছেন। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন তারা।

ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান জানান, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে জয়লাভ করছেন। এখন রায়ের কপি মন্ত্রণালয় থেকে জেলাতে পাঠানোর আদেশ এলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা পেতে কোনও সমস্যা হবে না। মন্ত্রণালয় আদেশ দিলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মনোজ কুমার রায় জানান, হাইকোর্টের রায়ের পর রিভিউ আপিল হয়েছে কি না অথবা সরকারের ভিন্ন কোনও সিদ্ধান্ত আছে কি না তা জানতে চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট তারিখে ন্যাপ কমিউনিস্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ও গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। পরে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এই গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ন্যাপ কমিউনিস্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টাচার্য এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট দীর্ঘ শুনানির পর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশের তারিখ থেকে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেয়। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় লিভ টু আপিল দায়ের করলে আদালত তা খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালক গ্রেফতার
চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালক গ্রেফতার
টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের পাকিস্তানের এক নম্বর বোলার শাহীন
টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে ফের পাকিস্তানের এক নম্বর বোলার শাহীন
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…