ঈদের ছুটিতে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে। পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন। সবুজ প্রকৃতি আর বন্য প্রাণীদের দেখতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে গোটা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। ঈদের দিন বিকাল থেকে শুরু হয় দশনার্থীদের পদচারনা। ঈদের তিনদিন পর্যন্ত চলবে দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত রঘুসুন্দর পাহাড়ের ৭টি ছড়া থেকে মূলত নামকরণ করা হয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের। ঈদের ছুটিতে জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন পর্যটক। কুড়িগ্রাম থেকে আসা জাহিদ মিয়া নামে এক পর্যটক জানান, ঈদের ছুটিতে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র দেখার জন্য পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন।
তিনি বলেন, সাতছড়িতে এসে খুবই ভালো লাগছে। তবে ওয়াশরুমসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। এগুলোতে কর্তৃপক্ষ নজর দিলে আরও পর্যটক বাড়বে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা ইকবাল নামে এক পর্যটক বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাতছড়িতে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে বানর, বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখে মনটা ভরে গেছে।
একই জেলার পলি নামে এক শিক্ষার্থী জানান, সাতছড়িতে না আসলে বোঝা যাবে না প্রকৃতিকে কত কাছে পাওয়া যায়। কিছুক্ষণের জন্য প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা পিয়ারা আক্তার জানান, ঈদের ছুটিতে সাতছড়িতে এসে খুবই ভাল লাগছে। তবে পরিবার পরিজন নিয়ে আসলে আরও ভাল লাগবে।
হবিগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে সাতছড়িতে এসে অনেক মজা করেছি। তিনি বলেন, এখানে প্রকৃতির কাছে হারিয়ে যাওয়া যায়। গহীন অরন্যে বণ্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর লাগে।
সাতছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার মাহমুদ হোসেন জানান, এখানে পর্যটকদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য পর্যটন পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি গাইড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা গহীণ অরণ্যে যেতে চায় তাদেরকে গাইডের মাধ্যমে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ঈদ আসলে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। তখন আমাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। তবে আমরা চেষ্টা করি পর্যটকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য।
তিনি জানান, বৃষ্টি আসলে যাতে পর্যটকদের কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য বেশ কয়েকটি ছাতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টয়লেট ও ওয়াশরুমের জন্য শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
/বিএল/