লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তের তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক গোলাম মোরশেদ এ উদ্ধার তৎপরতা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন। তবে আগামীকাল বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে আবারও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৬ জুন) রাত ২টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার আবুলের চর নামক এলাকায় তিস্তা নদীতে গরু চোরাচালানীদের প্রতিরোধে নদীতে নেমে নিখোঁজ হন সুমন মিয়া। এরপর রাতেই বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভারতীয় বিএসএফ’র সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার পর স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় প্রথমে নামে ভারতীয় বিএসএফ। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে লালমনিরহাটের মোগলহাট সীমান্ত থেকে বিজিবির স্পিডবোট আনা হলে সুমন মিয়াকে উদ্ধার তৎপরতা কাজে যোগ দেয়। এরপর রংপুর ও পাটগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি লিডার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে নামে। বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আনারও প্রস্তুতি নেয় বিজিবি। কিন্তু তিস্তার পানি ঘোলা হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত হেলিকপ্টার আনা সম্ভব হয়নি।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক গোলাম মোরশেদ উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক স্থগিত করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে জীবিত বা মৃত উদ্ধারের সব ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারের কারণে সাময়িকভাবে উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে। তবে যতক্ষণ সুমন মিয়াকে না পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলবে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির রংপুর জোনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ দহগ্রামের ঘটনাস্থল থেকে তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত স্পিডবোটে পরিদর্শন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।
/এআর/