জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিয়ের প্যান্ডেল সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। নারায়ণগঞ্জের সোরাগাঁয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা সামসুল আলম।
সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের উত্তর কাজীপাড়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা শর্তে জানান, কাজীপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে ৩২ শতাংশ জমি নিয়ে একই এলাকার আমজাদ হোসেনর দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
সিরাজুল ইসলামের পরিবার আওয়ামী লীগ এবং আমজাদ হোসেনের পরিবার বিএনপি সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সম্প্রতি আমজাদ হোসেনের ভাতিজা সামসুল আলম যুবলীগে যোগ দেয় এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়। এরপর থেকেই আবারও জমিটি দখলের চেষ্টা করেছিল আমজাদ।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমজাদ হোসেন জমিটি দখল করে রাখে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার জমিটি আর দখলে রাখতে পারেননি। জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। মামলা থাকলেও এ জমিতে উভয়পক্ষ বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতো।
আওয়ামী লীগ সমর্থক সিরাজুল ইসলামের নাতির বিয়ে আগামীকাল শুক্রবার। এ কারণে মঙ্গলবার (২৭ জুন) তারা ওই জমিতে প্যান্ডেল করতে গেলে আমজাদ হোসেন ও তার ভাতিজা সামসুল আলম বাধা দেন। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিয়ের প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা না সৃষ্টি করতে অনুরোধ করলেও শোনেনি সামসুল আলম। সে এ প্যান্ডেল সরিয়ে নিতে বলে। নইলে প্যান্ডেল ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। বিয়ের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে সিরাজুল ইসলামের পরিবার প্যান্ডেল পাশের আরেক আত্মীয়ের জমিতে সড়িয়ে নেয়। কিন্তু এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনও সময় অপ্রিতীকর ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম বলেন, ‘দু’পক্ষই আমার আত্মীয়। তাদের মধ্যে এ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ জমিতে কয়েকদিন আগে আমার চাচা খড়ের গাদা তৈরি করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম বাধা দেয়। এ কারণে তিনি বিয়ের প্যান্ডেল করতে বাধা দিয়েছে। পরে আমি গিয়ে প্যান্ডেল সড়িয়ে বিষয়টির সমাধান করে দিয়েছি।যারা আমার বিরুদ্ধে বলছে তারা মিথ্যা কথা বলছে।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিরাজুল ইসলাম কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
/এসটি/