শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আট বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটি গত মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোরে স্থানীয় মক্তবে পড়তে যায়। বৃষ্টির কারণে মক্তবের শিক্ষক এবং মৌয়াকুড়া মসজিদের ইমাম আজিজুল হক মক্তব ছুটি দিয়ে শিশুটিকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ে দেয় অজিজুল। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে ওই শিশুটি ব্রাক পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা গালে কামড়ের বিষয়টি জানতে চাইলে, শিশুটি সব খুলে বলে। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত আজিজুল হককে মক্তবে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকার পর রাতে এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে অভিযুক্ত আজিজুল হককে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিজুল হককে তার নিজ বাড়ি চারআলী গ্রাম থেকে আটক করা হয় বলে জানান নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার হোসেন।
ওসি জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সালিশে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী দেওয়ান, ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া, ইউপি সদস্য আজাহার আলী, গ্রাম্য মাতব্বর ফুল মামুদ ও মসজিদ কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করে রাতেই শেরপুর সদর থানায় পাঠানো হয়। এছাড়া এ মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামী ইউপি সদস্য সুরুজ আলী পলাতক রয়েছে।
/এএইচ/এসএমএ/