বরিশালের বানারীপাড়ায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার (১৬ জুলাই) মামলা হয়েছে।
স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেতাল গ্রামে বেতাল ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুরে বানারীপাড়া থানায় এ ব্যাপারে মামলাটি ( নং-৯) দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মামলায় অভিযুক্ত সুমন হোসেন মোল্লা বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্য পাঁচজন অজ্ঞাতনামা। তাদেরকে সুমনের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
বানারীপাড়া থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ওই গৃহবধূকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের মাধ্যমে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লার নাম উলেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি জানান,স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সকালে ধর্ষণের খবর পান । থানা পুলিশ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি জানান,ওই গৃহবধূ নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে তিনি চট্টগ্রামে থাকতেন। সেখানে বসে সেলিম নামে এক অটোচালকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাকে বিয়ে করেন। তবে সেলিমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। সেলিম স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে না উঠিয়ে ৭/৮ দিন আগে তাকে নিয়ে নানা বাড়ি বেতাল গ্রামে রেখে আসেন।
খবর পেয়ে সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীরা ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি ও তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে অন্যত্র আটকে রেখে মেয়েটিকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে সুমন মোল্লা ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লা বলেন,‘শনিবার রাতে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে ফেরার পথে রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বেতাল ক্লাবের সামনে তাদের দুজনকে ঝগড়া করতে দেখে মোটরসাইকেল থামাই। এ সময় স্বামীর আগে বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা গোপন করে বিয়ে করার ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে বলে ওই মেয়েটি জানায়। সকালে শুনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চক্রান্ত ও প্রভাবের কারণে ওই ছেলে ও মেয়ে ধর্ষণ নাটক সাজিয়েছে। আমি স্থানীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি। যদি বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয় তবে আসল বিষয় সামনে বেরিয়ে আসবে। ’
/এসটি/ এপিএইচ/আপ-এনআই
