চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গবরগাড়া গ্রামে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এক মাস আগে দালাল জুম্মত আল ওই তরুণীকে ঢাকা নিয়ে একটি বাড়িতে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিয়ে থামিয়ে রাখে। তবে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনে জানানো হলে গত রবিবার সন্ধ্যায় সংস্থাটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল জানান, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী নিজেই থানায় অভিযোগ করতে এসেছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি যেহেতু ঢাকায় ঘটেছে সেজন্য চুয়াডাঙ্গা থানায় অভিযোগ নেওয়া সম্ভব হয় নি।’
এ বিষয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার বলেন, ‘মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক আগে তরুণীকে সৌদি আরবে নিয়ে যেয়ে ভালো বেতনের কথা বলে একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আদম দালাল জুম্মত আলী। এরপর তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জুম্মত আলীর হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেয়। গত ১ জুলাই ফিঙ্গার প্রিন্টের নামে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তরুণীকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় জুম্মত আলী। ঢাকায় নিয়ে একটি বাড়িতে তিন দিন আটক রেখে তাকে ধর্ষণ করে জুম্মত। গত ৪ জুলাই জুম্মত মেয়েটিকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। বাড়ি ফিরে মাকে ঘটনা খুলে বলে তরুণী।
তরুণীর বাবা জানান, পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে মেয়েকে সৌদি আরবে পাঠাতে একটি গরু বিক্রি করে ও বসতবাড়ির ভিটা বন্ধক রেখে জুম্মত আলীকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু জুম্মত আলী মেয়েকে বিদেশে না নিয়ে তিন দিন আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি গ্রামের মাতব্বরদের জানানো হলে জুম্মত আলী প্রভাবশালী হওয়ায় শালিসের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানানোর জন্য গ্রামের মাতব্বার আবুল আওয়াল ব্যাপারী ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি ধামকি দেন।
/এসএনএইচ/