X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি
২০ জুলাই ২০১৭, ১০:০৯আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৭, ১০:০৯

বগুড়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর-নগদ অর্থ) প্রকল্পের কাজ না করে ৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আলতাব আলীর কাছ থেকে এসব প্রকল্প বাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আলমগীরের বিরুদ্ধে মাঝিরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তারেক হোসেন সুমন মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তদন্ত করতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মাঝিরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য তারেক হোসেন সুমন জানান, যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীর স্থানীয় এমপির কাছে ৩-৪টি প্রকল্প বাগিয়ে নেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের টিআর ও নগদ অর্থের বিভিন্ন সংস্কার এবং সোলার প্যানেল লাগানোর কাজ ছিল। আলমগীর দলীয় ক্ষমতার অপব্যাবহার করে নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক (১ম পর্যায়ের) প্রকল্প তালিকায় মাঝিড়া ইউনিয়নের কয়েকটি প্রকল্পের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ভুয়া রেজুলেশন, ভুয়া সভাপতি ও সেক্রেটারির নামে সীলমোহর এবং স্বাক্ষর দেন। এভাবে বেশ কয়েক লাখ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।

সুমন আরও জানান, সাজাপুর পূর্ব ও দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের নামে প্রকল্প দেখান আলমগীর। তিনি এখানে কোনও কাজ না করে এবং ঈদগাহ মাঠে সামান্য মাটি ফেলেন। মসজিদ কমিটিকে মাত্র ৭ হাজার টাকা দিয়ে তিনি এখান থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। জানাজানি হলে পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চান আলমগীর। এছাড়া তিনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেসব বাড়িতে সোলার প্যানেল দিয়েছেন, সেসব বাড়িতে আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। আর এসব বাড়ি তার আত্মীয়-স্বজনের। এছাড়া ইউনিয়নের কাজ হলেও পৌর এলাকার ফুলদীঘির একটি বাড়িতে সোলার প্যানেল দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীর অন্তত ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তবে অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাঝিরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুমন আমার প্রতিপক্ষ। সব প্রকল্পে শতভাগ কাজ করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।’

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা