যশোরে শনিবার পৃথক দুর্ঘটনায় সোহেল রানা (৩০) এবং উজ্জ্বল মৃধা (৩০) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া সুজন শিকদার (২৮) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের সাতমাইল বাজারে একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে সোহেল রানা ও সুজন সিকদার নামে দুই যুবক গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১১টার দিকে সোহেল রানা মারা যান।
নিহত সোহেল রানা যশোর সদরের গহেরডাঙ্গা গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে। সুজন সিকদার একই উপজেলার ললিতাদহ গ্রামের গণেশ সিকদারের ছেলে।
নিহত সোহেল রানার শ্বশুর রেজাউল ইসলাম জানান, সোহেল রানা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। আহত সুজন সিকদার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার সকালে তার জামাই এবং সুজন মোটরসাইলে করে বাড়ি থেকে যশোর দিকে যাচ্ছিলেন।
অপরদিকে,সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যশোরে ট্রেনে কাটা পরে উজ্জ্বল মৃধা নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
যশোর রেলওয়ে স্টেশনে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
হাসপাতালের স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন ডা. ইউনুস আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সকাল ১০টা ৪০মিনিটে সোহেল রানা মারা যান।
উজ্জ্বল গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার পুনা গ্রামের মান্নান মৃধার ছেলে।
যশোর জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইদ্রিস আলী বলেন, সকালে স্টেশনের তিন নম্বর লাইনে একটি মালবাহি ট্রেন খুলনার দিকে যাচ্ছিল। তখন ওই যুবক ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে ট্রেনের চাকায় তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে কেটে পড়ে যায় এবং মাথার বাম পাশে জখমপ্রাপ্ত হয়। জিআরপি পুলিশ স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত সোহেলের ভাই বাবুল মৃধা বলেন, ‘যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে তার ভাইয়ের প্রেম ছিল। মেয়েটি তাকে প্রত্যাখ্যান করায় কীটনাশক পান করে সে ট্রেনে নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মতহ্যার চেষ্টা করে।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ৩