X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্র মাশুক হত্যাকাণ্ড: কিশোর নাঈমের স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে গ্রহণ

বগুড়া প্রতিনিধি
২২ জুলাই ২০১৭, ২১:৪৮আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৭, ২২:৪২

স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌস (ফাইল ছবি)

বগুড়ায় স্কুলছাত্র মাশুক ফেরদৌস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কিশোর বিদারুল ইসলাম নাঈমের (১৫) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার (১৭ জুলাই) জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় এ আবেদন গ্রহণ করেন। শনিবার (২২ জুলাই) এ সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পেয়ে স্কুলছাত্র মাশুক ফেরদৌসের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আইনজীবী হাবিবুর রহমান জানান, আদালত নাঈমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন আমলে নিয়ে মামলার নথি পর্যালোচনা করেন। এরপর তিনি তার আদেশে বলেন, জবানবন্দি অনুসারে পুলিশ ১৪ মে নাঈমকে গ্রেফতার করে এবং ১৮ মে আদালতে হাজির করে। অনুমোদিত ২৪ ঘণ্টার বেশি নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য পুলিশ কোনও আবেদন করেনি। তাই নাঈমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করা হলো।

আইনজীবী হাবিবুর রহমান আরও জানান, বাদীপক্ষ মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলায় আদালত এ মামলার তদন্তের কাজ বগুড়ার সিআইডি ক্যাম্পের এএসপি বা অন্য কোনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দিয়ে করানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১১ জুলাই বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যশোরের পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করে নাঈম। নিজ হাতে লেখা ওই আবেদনে নাঈম উল্লেখ করে, ১৫ মে মাশুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সদর থানা পুলিশ শাজাহানপুর থানার সামনের একটি হোটেল তাকে থেকে তুলে আনে। এরপর তারা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। বাবা-মাকে মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে তাকে দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।

এদিকে, ১৭ জুলাইয়ের পর মাশুকের বাবা জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক ইমদাদ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছেলে হত্যার মামলা ঢাকার সিআইডির বিশেষ টিমের মাধ্যমে তদন্তের আবেদন করেন।

১৩ মে মাশুক ফেরদৌসকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৬ মে তার বাবা এমদাদুল হক এমদাদ সদর থানায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের বাবা মাহবুব হামিদ তারা ও চাচা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাউল হামিদ মেজবাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাহবুব হামিদ তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এদিকে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া কিশোর নাঈম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ২০ জুলাই এ মামলার আসামি ফয়সাল ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।

/এমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!