X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি বিভাগের দাবি বন্যায় নীলফামারীতে ক্ষতি সামান্য

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০১৭, ০০:১১আপডেট : ২৩ জুলাই ২০১৭, ০০:১১

নীলফামারীতে-বন্যা তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় কৃষি জমির ক্ষতির পরিমাণ অতি সামান্য বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। তবে এ তথ্য সঠিক নয় উল্লেখ করে তা প্রত্যাক্ষাণ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি— বন্যায় দুই উপজেলায় কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে মাত্র তিন হেক্টর জমি। এর মধ্যে সোয়া হেক্টর আংশিক এবং পৌনে দুই হেক্টর পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা মাত্র ৯০ জন।

কৃষি অধিদফতরের জরিপে ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে উৎপাদনের দুই দশমিক আট মেট্রিকটন চালের সমপরিমাণ। এটি টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় এক লাখ ৫২ হাজার।

নীলফামারীর ডিমলার খালিশাচাপানী, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, ঝুনাগাছচাপনী ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুণ্ডা, শৌলমারী, কৈমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ক্ষতি পোষাতে স্থানীয়ভাবে বীজের পরিবর্তে বলান চারা সরবরাহের কথা বলা হয়েছে।

এলাকার কৃষক ও জনপ্রতিনিধিরা কৃষি বিভাগের ওই তথ্য সঠিক নয় উল্লেখ করে জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগের ওই হিসাবে বাস্তব চিত্র আসেনি। বাস্তবতায় ক্ষতির পরিমাণ অনেকগুণ বেশি।

উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের কৃষক সামসুল ইসলাম (৪৫) বলেন, ‘বন্যার পানিতে আমার পাঁচ বিঘা, বড়ভাই জয়নাল আবেদীন এবং মোজোভাই আয়নাল হকের পাঁচ বিঘাসহ মোট ১০ বিঘা এবং চাচা আসগার আলীর ১০ বিঘা জমির আমন ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। পানি নেমে গেছে, কিন্তু এখন আর এসব জমিতে (আমন) রোপন করার মতো বীজতলায় চারা নেই।’

একই ইউনিয়নের পূর্ব বাইশপুকুর গ্রামের ইউপি সদস্য রমজান আলী (৫৬) বলেন, ‘বন্যায় আমার ওয়ার্ডের অন্তত একশ পরিবারের তিনশ বিঘা জমির আমন ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এসব জমিতে আবার চারা রোপন করা না হলে ফসল হবে না। এলাকায় আমন বীজতলার সংকট দেখা দিয়েছে।’

পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, কৃষি বিভাগের ওই হিসাব সঠিক নয়। ‘ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর এবং পূর্বছাতনাই গ্রামের এক হাজার পরিবারের ক্ষেতের জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব পরিবারের অন্তত পাঁচশ একর আমন ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে।’

উপজেলা পরিষদের সভায় এই জরিপের তথ্যের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়ে বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জমিতে আবারও আমন চারা রোপন শুরু করেছে। চারার ঘাটতি হবে না, কোনও জমিই পড়ে থাকবে না। কারণ জেলায় যে পরিমাণ বীজতলার প্রয়োজন তার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাচাই করে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করেছি আমরা।’

/এসএমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি