X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে পাটের বাম্পার ফলন: সুদিন ফিরছে সোনালি আঁশে

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৪ জুলাই ২০১৭, ১৫:৪০আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৫:৪০

নীলফামারীতে পাট চাষে ফিরছে পুরনো চাষিরা। ছবি-প্রতিনিধি

বাজারে এবার পাটের দাম ভাল। ফলনও বেশি। তাই কৃষকরাও খুশি। ফলন ও বাজারমূল্য ভাল হওয়ায় পাট চাষে ফিরতে শুরু করেছে পুরনো চাষিরাও। নীলফামারীতে যেন পাট চাষের পুনর্জাগরণ হয়েছে। আর তাই এ মৌসুমে জেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত বছর প্রতি মণ পাট দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করেছে কৃষকরা। এবার ওই পাটই বাজারে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়।’

তিনি আরও বলেন, বেলে মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে পাটের আবাদ ভাল হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৮শ ৪৫ বেল (প্রতি বেল ৫ মণ)। চলতি বছর নীলফামারী জেলায় পাটের চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৪শ ৬০ হেক্টর জমিতে। সে হিসেবে এক লাখ ৪৬ হাজার বেল পাট উৎপাদন হবে বলে কৃষিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাটির প্রকারভেদে এ জেলায় দেশি ও তোষা জাতের পাটের আবাদ বেশি হয়। দেশি পাট হেক্টর প্রতি প্রায় ১০ বেল (৫০ মণ) এবং তোষা জাতের পাট প্রতি হেক্টরে ১১ বেল উৎপাদন হয়।

কৃষিবিদরা জানান, জেলার বেশি ভাগ মাটি দোঁআশ এবং বেলে-দোঁআশ হওয়ায় তা পাট চাষের উপযোগী। এ অঞ্চলের মাটির গুণগতমান ভাল হওয়ায় উৎপাদিত পাটের আঁশ উন্নত হয়। তাই দেশের বিভিন্ন বাজারে এ এলাকার পাটের চাহিদা রয়েছে।

এক লাখ ৪৬ হাজার বেল পাট উৎপাদন হবে বলে কৃষিবিদদের প্রত্যাশা। ছবি-প্রতিনিধি

গত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জেলায় ১০ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে এক লাখ ৭ হাজার ৯শ ৬ বেল পাট উৎপাদন হয়েছিল। এবার তা প্রায় দেড় লাখ বেল পর্যন্ত উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় পাট চাষের প্রতি ঝুঁকতে শুরু করেছে কৃষকরা। এ ব্যাপারে সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের বাওনাবাউনি গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, পাটের আবাদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। বাজারের চাহিদা দেখে এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আবারও পাটের আবাদ করেছি। ভাল দাম পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে আরও বেশি আবাদ করার পরিকল্পনা আছে।

একই উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের শাহপাড়া গ্রামের ননী গোপাল রায় বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে পাটের আবাদ করে ভাল দাম পেয়েছি। তাই এবার তিন বিঘা জমিতে পাট করছি। বাজার ভাল থাকলে পরেরবার পাটের চাষ আরও বাড়াব।

জেলা শহরের পাট ব্যবসায়ী আবু সাইদ মিলন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় একসময় এ অঞ্চলের পাটের চাহিদা ছিল। এ কারণে ডোমার, চিলাহাটি, মির্জাগঞ্জসহ জেলা শহরে বড় বড় ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। একপর্যায়ে পাটের চাহিদা কমে যাওয়ায় চাষিরা পাট চাষে নিরুৎসাহিত হন। এখন পাটের বাজারমূল্য ভাল হওয়ায় পুরনো ব্যবসায়ীরা ফের পাট চাষে ফিরছে।’

এএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বর্ষার আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, মোকাবিলায় যা করছে ডিএনসিসি
বর্ষার আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, মোকাবিলায় যা করছে ডিএনসিসি
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি