বগুড়ার সান্তাহারে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিপি (বনমালি প্রমেশ্বর) উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পিএসসিতে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানে ১২৫ থেকে ৩০০ টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্যালেন্টপুলের একজন ছাত্রকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্ত দেখানো হয়েছে। এতে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে কোমলমতি সন্তানদের হয়রানির আশঙ্কায় তারা নাম, পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।
নিয়ম অনুযায়ী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে টাকা উত্তোলন করে বৃত্তিপ্রাপ্তদের দিয়ে থাকেন। এই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রদের মধ্যে ২৫ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে তিনজন। সম্প্রতি বৃত্তি দেওয়া সময় ১২৫ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ যাচাই করতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিপি (বনমালি প্রমেশ্বর) উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়। পরে প্রধান শিক্ষক (চুক্তিভিত্তিক) তালুকদার মো. আহসান উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বৃত্তির টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ দৃঢতার সঙ্গে অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া এক ছাত্রকে সাধারণ গ্রেড দেখানোর ঘটনাটি ভুলক্রমে হয়েছে।
এদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য বৃত্তির টাকা বিতরণ রেজিস্টারে মূল টাকা ট্যালেন্টপুলে ২ হাজার ৭৫ ও সাধারণ গ্রেডে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা লিখে সংশ্লিষ্ট ছাত্রের স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য অনিল গুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, তিনিও এমন অভিযোগ শুনেছেন। কমিটির সবাইকে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
/এমপি/