গোপালগঞ্জে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীদের হাতে বাবা কাজী মাহাবুব (৫০) নিহত হওয়ার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখন পযর্ন্ত মামলা হয়নি। এ ঘটনা এখনও কাউকে গ্রেফতার করাও সম্ভব হয়নি। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আকাশসহ পুরো পরিবার পালিয়ে গেছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোপে কাজী মাহাবুব নিহত হলেও এখন পযর্ন্ত তার পরিবারের কেউ থানায় কোনও অভিযোগ দেননি। হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আকাশসহ তার পরিবার পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরও আমরা আসামিদের ধরতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারবো। ইতোমধ্যে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত কাজী মাহাবুব গোপালগঞ্জ সদর সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের একজন স্টাম্প ভেন্ডার ও হরিদাসপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ছিলেন।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে শহরের পাবলিক হল রোডের বাসিন্দা কাজী মাহাবুবের মেয়ে বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো বখাটে আকাশ। এ নিয়ে তাকে বেশ কয়েকবার নিষেধ করলেও তা না শুনে সে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো। পরে এ বিষয়ে মেয়ের বাবা কাজী মাহবুব বিষয়টি থানা পুলিশে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কিছুদিন আগে আকাশকে ধরে নেওয়ার পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এর জের ধরে গত শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জে শহরের পাবলিক হল রোডের নিজ বাসার কাছে সন্ত্রাসী ও বখাটে আকাশের (২২) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মাহাবুবকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়। রবিবার (২৩ জুলাই) গভীর রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজী মাহাবুব মারা যান।
/এআর/