নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের পাঁচ নম্বর সেক্টরের লেকের ঝোপ থেকে আরও ২০০ রাউন্ড এসএমজি রাইফেলের গুলি, ৪০ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ও ১২টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। বাংলা ট্রিবিউনকে রুপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য জানান।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ‘২ জুন পূর্বাচল উপ-শহরের পাচঁ নম্বর সেক্টরের লেক থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের প্রায় সাত দিন পর লেকের পানি সেচে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু লেকের পানিতে আর কোনও অস্ত্র না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্তও ঘোষণা করা হয়। সোমবার (২৪ জুলাই) খায়রুল নামের এক কৃষক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে লেকের পাড়ে যায়। সেখানে মাটিতে পুতে রাখা পলিথিনে মোড়ানো অস্ত্র দেখে তিনি পুলিশে খবর দেন। ওই দিন পুলিশ গিয়ে ঝোপের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে ছয়টি এসএমজি উদ্ধার করে। আরও অস্ত্র গোলাবারুদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ঝোপ পরিষ্কার করে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার দুপুরে ঝোপ পরিষ্কারের পর গত সোমবার এসএমজি উদ্ধারের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫শ’ গজ দূরে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে রাখা ২০০ রাউন্ড এসএমজি রাইফেলের গুলি, ৪০ রাউন্ড সটগানের কার্তুজ ও ১২ টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।’
ওসি জানান, লেকের আশপাশের সব ঝোপ পরিষ্কার করে আরও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
৩০ মে রূপগঞ্জ থানার এএসআই শাহজাহান খান দাউদপুর ইউনিয়নের বাগলা এলাকায় মোসলেউদ্দিনের ছেলে মাদক কারবারী শরীফের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে একটি এসএমজি উদ্ধার করেন। ওই দিন রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শরীফকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ জুন রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২ জুন সকালে ৩নং সেক্টরের ব্লু-সিটি নামে একটি আবাসন কোম্পানির বালুর ভেতর থেকে দুইটি এসএমজি, পূর্বাচলে ৫নং সেক্টরের লেকের পানি থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মোট ৭৪ টি এসএমজি, দুইটি রকেট লাঞ্চার, ৫৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি হাই ফ্রিকোয়েন্সি নন ট্রেকার ওয়াকিটকি, ৫টি পিস্তল, ৬০ টি ম্যাগাজিন, বিপুল পরিমাণ গুলি, ডেটোনেটর, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন রাতেই উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের কুড়িয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুরাদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ৩ জুন শনিবার বিকালে শীতলক্ষ্যা নদীর বাসুন্দা এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় ৫টি এসএমজি উদ্ধার করা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছের সিআইডি ঢাকা অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি এহসান উদ্দিন চৌধুরি।
/এনআই/